পায়রা বন্দরের বিকল্প নৌরুট এবং গলাচিপা বন্দরের নৌপথ বন্ধ করে দিয়ে পটুয়াখালীর লোহালিয়া ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘বাঁচবে নদী, বাঁচবে দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ব্রিজ উঁচু করে নির্মাণ করা এবং লঞ্চ ও জাহাজ স্বাভাবিকভাবে চলাচল করার দাবিতে গলাচিপায় মানববন্ধন হয়েছে।
রবিবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টায় সদর রোডে গলাচিপা বন্দর বণিক সমিতি, যাত্রী, গলাচিপা লঞ্চঘাট শ্রমিক, কৃষক, এলাকাবাসীসহ বিভিন্ন সামাজিক অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা মানববন্ধন করেছে। মানববন্ধনটি সদর রোড হয়ে গলাচিপা লঞ্চঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ এক কিলোমিটার বিস্তৃত ছিল। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গলাচিপা লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধি মো. মজিবর রহমান মিয়া, গলাচিপা বন্দর বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাপস দত্ত, ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন সোহাগ, শিক্ষক রেদওয়ান তালাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফ আহম্মেদ আসিফ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি ইব্রাহিম দফাদার, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন প্যাদা, গলাচিপা লঞ্চঘাট শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. ফারুক দফাদার, গলাচিপা লঞ্চঘাট শ্রমিক মোশারেফ সরদার প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নদী, নৌপথ বাঁচিয়ে যথাযথভাবে লোহালিয়া ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। ব্রিজ নির্মাণ বন্ধ করে ‘বিআইডব্লিউটিএ’ এর স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী করতে হবে। ব্রিজ নির্মাণে নদী প্রবাহ বন্ধ করা যাবে না। এই ব্রিজ পায়রা বন্দর ও গলাচিপা বন্দরকে পঙ্গু করে দেয়, তাই এই নদীপথ বাঁচাতে হবে। ৪৫ ফুট উচ্চতায় এই ব্রিজ দিয়ে আমাদের ৫০ ফুট উচ্চতার উঁচু নৌযান চলাচল করতে পারবে না। মিনিমাম ৬০ ফুট উঁচু করতে হবে এই ব্রিজ। নদী বাঁচিয়ে উন্নয়ন চাই। বক্তারা আরও বলেন, গলাচিপার নৌযান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এই মৌসুমে ব্যবসায়ীরা ধান ও বিভিন্ন পচনশীল কৃষিপণ্য সময়মত বিভিন্ন মোকামে পাঠাতে পারছেন না।
এতে চরম ক্ষতির সম্মুখিন হবেন প্রান্তিক কৃষকসহ ব্যবসায়ীরা। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, পটুয়াখালীর লোহালিয়া ব্রিজ নির্মাণের জন্য গত ১ নভেম্বর সবধরণের নৌযান চলাচল তিন মাসের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। উন্নয়নের জন্য সাময়িকভাবে সর্বসাধারণের একটু অসুবিধা হতে পারে। তবে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে এলজিইডি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।